মৃত্যু পরবর্তী জীবন ও কবরের অবস্থা।
মৃত্যু পরবর্তী জীবন ও কবরের অবস্থা!
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
বল, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে।
বাড়ী-গাড়ী, সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, ভক্তকুল সবাইকে রেখে সবকিছু ছেড়ে কেবল এক টুকরো কাফনের কাপড় সাথে নিয়ে কবরে প্রবেশ করতে হবে। বিলাসিতায় কাটানো সুন্দর দেহটা পোকার খোরাক হবে। জীবনের সকল আশা ও আকাংখা মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে। সকল হাসি সেদিন কান্নায় পরিণত হবে। মানুষ তাই মরতে চায় না। সর্বদা সে মৃত্যু থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়। অথচ আল্লাহ বলেন,قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلاَقِيكُمْ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ ‘তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছ, তা অবশ্যই তোমাদের কাছে উপস্থিত হবে। অতঃপর তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেই সত্তার কাছে, যিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সবকিছু সম্পর্কে অবগত। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন’ (জুম‘আ ৬২/৮)।
সে সময় মানুষ বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! যদি তুমি আমাকে আরও কিছু দিনের জন্য সময় দিতে, তাহলে আমি ছাদাক্বা করে আসতাম ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’। ‘অথচ নির্ধারিত সময়কাল যখন এসে যাবে, তখন আল্লাহ কাউকে আর অবকাশ দিবেন না। বস্ত্ততঃ তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবহিত’ (মুনাফিকূন ৬৩/১০-১১)। অন্য আয়াতে এসেছে, অবশেষে যখন তাদের কারু কাছে মৃত্যু এসে যায়, তখন সে বলে হে আমার পালনকর্তা! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে) ফেরত পাঠান’। ‘যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি যা আমি করিনি।
কখনই নয়। এটা তো তার একটি (বৃথা) উক্তি মাত্র যা সে বলে...’ (মুমিনূন ২৩/৯৯-১০০)।
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ : جَاءَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ، عِشْ مَا شِئْتَ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ، وَأَحْبِبْ مَنْ أَحْبَبْتَ فَإِنَّكَ مَفَارِقُهُ، وَاعْمَلْ مَا شِئْتَ فَإِنَّكَ مَجْزِيٌّ بِهِ. ثُمَّ قَالَ : يَا مُحَمَّدُ شَرَفُ الْمُؤْمِنِ قِيَامُ اللَّيْلِ وَعِزُّهُ اسْتِغْنَاؤُ عَنِ النَّاسِِ- رواه الحاكم بإسناد صحيح
অনুবাদ : সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জিব্রীল এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বললেন, হে মুহাম্মাদ! যতদিন খুশী জীবন যাপন কর। কিন্তু মনে রেখ তুমি মৃত্যুবরণ করবে। যার সাথে খুশী বন্ধুত্ব কর। কিন্তু মনে রেখ তুমি তাকে ছেড়ে যাবে। যা খুশী তুমি আমল কর। কিন্তু মনে রেখ তুমি তার ফলাফল পাবে। জেনে রেখ, মুমিনের মর্যাদা হল ইবাদতে রাত্রি জাগরণে এবং তার সম্মান হল মানুষের মুখাপেক্ষী না হওয়ার মধ্যে।
চিন্তা করুন:
বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানুষটিকে আল্লাহ নিজে এবং জিব্রীলকে পাঠিয়ে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অতএব মৃত্যুর কথা স্মরণ করা ও স্মরণ করিয়ে দেওয়া দুটিই মুমিনের জন্য অবশ্য কর্তব্য। কেননা দুনিয়ায় লিপ্ত মানুষ মৃত্যুকে ভুলে যায়। এই ফাঁকে শয়তান তাকে দিয়ে অন্যায় করিয়ে নেয়। একারণেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ ‘তোমরা বেশী বেশী করে স্বাদ বিনষ্টকারী বস্ত্তটির কথা স্মরণ কর’। অর্থাৎ মৃত্যুকে স্মরণ কর। যাতে দুনিয়ার আকর্ষণ হ্রাস পায় এবং আল্লাহর প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে
তার দীদার লাভের জন্য হৃদয় ব্যাকুল হয়।
অন্য আয়াতেআল্লাহ বলেন:
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ - ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা
প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে।
وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ مَتَاعُ الْغُرُورِ
বস্তুতঃ পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)।
আল্লাহ বলেন,وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلاَّ بِإِذْنِ اللهِ كِتَابًا مُؤَجَّلاًّ...- ‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না। সেজন্য একটা নির্ধারিত সময় রয়েছে...’ (আলে ইমরান ৩/১৪৫)।
তিনি আরও বলেন, ...فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لاَ يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلاَ يَسْتَقْدِمُونَ- ‘...অতঃপর যখন সেই সময়কাল এসে যায়, তখন তারা সেখান থেকে এক মুহূর্ত আগপিছ করতে পারে না’ (নাহল ১৬/৬১)
আল্লাহ আরও বলেন,أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِكْكُمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنْتُمْ فِي بُرُوجٍ مُشَيَّدَةٍ ‘যেখানেই তোমরা থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। এমনকি যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গেও অবস্থান কর’ (নিসা ৪/৭৮)।
কবরের অবস্থা :
জাবের (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, সে সূর্য অস্ত যেতে দেখবে এবং উঠে বসে চোখ মুছে বলবে, دَعُونِى أُصَلِّى ‘ছাড় আমি এখন (আছরের) ছালাত আদায় করব’।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, তাকে উঠিয়ে বসানো হবে ভয়হীন ও দ্বিধাহীন চিত্তে। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করা হবে, তুমি কোন দ্বীনের উপর ছিলে? সে বলবে, ইসলাম। অতঃপর বলা হবে, এই ব্যক্তি কে? সে বলবে, মুহাম্মাদ, যিনি আল্লাহর রাসূল। যিনি আমাদের নিকটে আল্লাহর পক্ষ হতে স্পষ্ট প্রমাণাদি সহ এসেছিলেন। অতঃপর আমরা তাঁকে সত্য বলে জেনেছিলাম। তখন বলা হবে, তুমি কি আল্লাহকে দেখেছ? সে বলবে, কারু পক্ষে দুনিয়াতে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকের দরজা খুলে দেওয়া হবে। তখন সে সেখানকার ভয়ংকর দৃশ্য দেখবে যে, আগুনের ফুলকি সমূহ একে অপরকে দলিত-মথিত করছে। এসময় তাকে বলা হবে, দেখ কি বস্ত্ত থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করেছেন। অতঃপর তার জন্য জান্নাতের দিকের দরজা খুলে দেওয়া হবে এবং সে জান্নাতের সুখ-সম্ভার দেখতে থাকবে। তখন তাকে বলা হবে এটাই তোমার ঠিকানা। তুমি দৃঢ় বিশ্বাসের উপরে ছিলে। উক্ত বিশ্বাসের উপরেই তুমি মৃত্যুবরণ করেছ এবং আল্লাহ চাহেন তো তার উপরেই তুমি পুনরুত্থিত হবে।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মাইয়েতকে যখন কবরে রাখা হয়, তখন তার কাছে নীলচক্ষু বিশিষ্ট দু’জন ঘোর কৃষ্ণকায় ফেরেশতা আসেন। যাদের একজনকে ‘মুনকার’ ও অন্যজনকে ‘নাকীর’ বলা হয়। তারা এসে বলেন, তুমি এ ব্যক্তি সম্পর্কে দুনিয়াতে কি বলতে? তখন সে যদি নেককার হয়, তাহলে বলবে, ইনি হলেন আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। তখন তারা বলবেন, আমরা জানতাম তুমি একথাই বলবে। অতঃপর তার জন্য তার কবরকে দৈর্ঘে-প্রস্থে সত্তুর হাত করে প্রশস্ত করা হবে এবং সেটিকে আলোকময় করা হবে। অতঃপর বলা হবে, তুমি ঘুমিয়ে যাও। সে বলবে, আমি আমার পরিবারের কাছে যাব এবং তাদেরকে এই সুসংবাদ জানাব। তখন ফেরেশতাদ্বয় বলবেন, ঘুমিয়ে যাও বাসর রাতের ঘুমের ন্যায়। যে ঘুম কেউ ভাঙ্গাতে পারে না প্রিয়তম ব্যক্তি ব্যতীত। যতদিন না আল্লাহ তাকে তার শয্যাস্থান থেকে উঠাবেন।
বারা বিন আযেব (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে বর্ণনা লাম। তারা বলবেন, এই ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের নিকট করেন যে, ফেরেশতাদ্বয় তাকে বসাবেন। অতঃপর জিজ্ঞেস করবেন, তোমার রব কে? সে বলবে, আমার রব আল্লাহ। তারা বলবেন, তোমার দ্বীন কি? সে বলবে, আমার
দ্বীন ইসপাঠানো হয়েছিল? সে বলবে, ইনি আল্লাহর রাসূল। তারা বলবেন, কিভাবে তুমি এটা জানলে? সে বলবে, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি এবং তার উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেছি ও তাঁকে সত্য বলে জেনেছি’। এটাই হল আল্লাহর কালামের বাস্তবতা, যেখানে তিনি বলেছেন,يُثَبِّتُ اللهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ وَيُضِلُّ اللهُ الظَّالِمِينَ ‘আল্লাহ মুমিনদের দৃঢ় বাক্য দ্বারা মযবূত রাখেন ইহকালে ও পরকালে এবং যালেমদের পথভ্রষ্ট করেন’ (ইবরাহীম ১৪/২৭)। একই রাবী কর্তৃক অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন যে, উক্ত আয়াতটি কবরের আযাব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে’।অতঃপর আকাশ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দিবেন যে, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। সুতরাং তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও। তাকে জান্নাতের পোষাক পরিয়ে দাও ও তার দিকে জান্নাতের একটি দরজা খুলে দাও। অতঃপর সেটি খুলে দেওয়া হবে। ফলে তার দিকে জান্নাতের সুবাতাস ও সুগন্ধি আসতে থাকবে। আর ঐ দরজাটি তার দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে’।
আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মাইয়েতকে দাফন শেষে যখন তার পরিবারবর্গ ও সঙ্গীসাথীরা ফিরে যায় এবং তাদের জুতার আওয়ায মাইয়েত অবশ্যই শুনতে থাকে, তখন দুজন ফেরেশতা আসেন ও তাকে উঠিয়ে বসান।... অতঃপর যদি সে মুনাফিক ও কাফের হয়, তখন তাকে এই ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলবে, আমি জানি না। লোকেরা যা বলত, আমিও তাই বলতাম। তাকে বলা হবে, তুমি তোমার জ্ঞান দিয়েও বুঝনি। পাঠ করেও জানতে চেষ্টা করোনি..
এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কবরে মাইয়েতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনর্জীবিত করা হবে। এই কবর মাটিতে হৌক বা অন্যত্র হৌক। কেননা কবর অর্থ মৃত্যুর পরবর্তী বরযখী জীবন। যা দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে থাকে (মির‘আত ১/২১৭, ২২০)।
বারা বিন ‘আযেব (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, সে তিনটি প্রশ্নেই বলবে, হায় হায় আমি জানি না। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দিয়ে বলবেন, সে মিথ্যা বলেছে। অতএব তার জন্য জাহান্নামের বিছানা বিছিয়ে দাও। জাহান্নামের পোষাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জাহান্নামের দিকের একটি দরজা খুলে দাও। অতঃপর সেখান থেকে প্রচন্ড গরম লু হাওয়া তার কবরে প্রবাহিত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, অতঃপর তার কবরকে তার উপর এমন সংকীর্ণ করা হবে যে, প্রচন্ড চাপে একদিকের পাঁজর অন্যদিকে প্রবেশ করবে। অতঃপর তার জন্য একজন অন্ধ ও বধির ফেরেশতাকে লোহার বড় হাতুড়ি সহ নিযুক্ত করা হবে, যদি ঐ হাতুড়ি পাহাড়ের উপরে মারা হত, তাহলে তা মাটি হয়ে যেত। অতঃপর সে তাকে মারতে থাকবে। এসময় তার বিকট চিৎকার জ্বিন-ইনসান ব্যতীত পূর্ব ও পশ্চিমের সকল সৃষ্টিজগত শুনতে পাবে। অতঃপর সে মাটি হয়ে যাবে, আবার বেঁচে উঠবে’।অন্য বর্ণনায় এসেছে, এভাবেই সে শাস্তি পেতে থাকবে, যতদিন না আল্লাহ তাকে পুনরুত্থান দিবসে তার শয্যাস্থান থেকে উঠান।
আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, অতঃপর সে যদি মন্দ লোক হয়, তাহলে তাকে বসানো হবে ভীত সন্ত্রস্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায়। বলা হবে তুমি কোন দ্বীনের উপরে ছিলে? সে বলবে, আমি জানি না। বলা হবে, এই ব্যক্তি কে? সে বলবে, লোকদের যা বলতে শুনেছি তাই বলতাম। অতঃপর তাকে জান্নাতের দিকের দরজা খুলে দেওয়া হবে। তখন সে তার সুখ-সম্ভার দেখতে থাকবে। বলা হবে, তুমি দেখ যা তোমার থেকে আল্লাহ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অতঃপর তাকে জাহান্নামের দিকের দরজা খুলে দেওয়া হবে। সে সেখানকার আগুনের ফুলকি সমূহ দেখবে, যা একে অপরকে দলিত-মথিত করছে। তখন তাকে বলা হবে, এটাই তোমার ঠিকানা। যে বিষয়ে তুমি সন্দেহের উপরে ছিলে এবং সন্দেহের উপরেই তুমি মরেছ। আর এই সন্দেহের উপরেই আল্লাহ চাইলে তুমি পুনরুত্থিত হবে।
Comments
Post a Comment